নতুন ব্যবসা শুরু করার নিয়ম (12টি টিপস)

নতুন ব্যবসা শুরু করার নিয়ম ২০২১

এখন কেউ যদি শখের বশে কোন ব্যবসাতে টাকা ইনভেস্ট করে। কিংবা শখের বশে নতুন ব্যবসা শুরু করে তখন এতোটুকু বলা যায় এটা একধরনের বোকামি। যদি না আগে থেকেই এ বিষয়ে কোন পরিকল্পনা না নিয়ে থাকেন। যদি আপনি নিজের ফেভারিট শখকে প্যাশনে পরিণত করতে চান, তাহলে আমি আপনাকে 10 টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস দিতে পারি সফলভাবে ব্যবসা শুরু করার জন্য। যেগুলো ব্যবহার করে নিজের প্যাশন গড়তে পারেন। তো আজকে জানবো নতুন ব্যবসা শুরু করার নিয়ম এবং কতগুলি টিপস।

সফলভাবে ব্যবসা শুরু করুন।

সফলভাবে নতুন ব্যবসা শুরুর ১২টি টিপ্স ও নিয়ম নিম্নরুপঃ


 ১। নিজের লক্ষ্য সেট আপ করুন

এমন অনেক লোক আছে যারা পরিষ্কার কোন ধরনের লক্ষ্য সেটাপ না করেই নতুন ব্যবসা শুরু করে। যদি ব্যবসায় মধ্য দিয়ে ভালো টাকা ইনকাম করতে চান, অথবা দীর্ঘমেয়াদী ব্যবসা করতে চান, তাহলে আপনার নিজস্ব লক্ষ্য থাকতে হবে। আপনি ব্যবসাটাকে কোন গতিতে নিয়ে যাবেন? কিভাবে ব্যবসায়ের উন্নতি করবেন ইত্যাদি বিষয়ে আগে থেকে লক্ষ্য ঠিক করে নিন


নিজের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে কতটুকু সামনে এগিয়ে যেতে হবে? তা ভালোমতো বুঝে নিন। ব্যবসায় ক্ষেত্রে কতগুলো জটিল বিষয় আছে, যার মধ্যে আছেঃ অডিয়েন্সের অ্যাটেনশন পাওয়া, ক্রয়- বিক্রয়, মার্কেটিং ইত্যাদি। লক্ষ্য ছাড়া হুটহাট ব্যবসা শুরু করলেই, এসব ব্যাপারে ক্লিয়ার থাকতে পারবেন না। পরবর্তীতে ব্যবসায় বড় রকমের সমস্যা হতে পারে। কাজেই নতুন ব্যবসা শুরু করার আগে কতগুলো নিয়ম মাথায় রাখা উচিত।

সোশ্যাল মিডিয়া অথবা অনলাইন দুনিয়া আপনার শখ অথবা ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে। নিজের শখ যদি প্যাশনে (Passion) এ পরিণত করতে চান, তাহলে আপনাকে আগে থেকেই একটি লক্ষ্য ঠিক রাখতে হবে।



২। কিভাবে নিজের শখের ব্যবসায়ের মনিটাইজ করবেন

যখনই আপনার ব্যবসার লক্ষ্য ঠিক করে নিবেন, পরবর্তী ধাপে কিভাবে ওই ব্যবসা থেকে অতিরিক্ত আয় করবেন তার উপায়গুলো খুঁজতে শুরু করবেন। একটি ব্যবসা থেকে আয় করার অনেকগুলো দিক থাকে। এবং অনেকগুলো পর্যায়ে থাকে।


ব্যবসা থেকে শুরুতেই আয় বৃদ্ধি না করে ধীরে ধীরে আয় বৃদ্ধি করা ভালো। ধরুন আপনি অনলাইনে টি-শার্ট অথবা ফ্যাশনেবল আইটেমের একটি ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছেন। যেখানে আপনি ভালো ব্র্যান্ডের টি শার্ট অনলাইনে সেল করবেন।


অনলাইনে নিজের ব্যবসা কে আরো উন্নতি করার জন্য শুরুর দিকে আপনাকে কম প্রাইজে সেল করার চিন্তা নিতে হবে। এমনকি বিভিন্ন ক্যাটাগরির আইটেম কম প্রাইজে সেল করতে হবে। যাতে আপনার বিজনেসটা পপুলারিটি পায়। তাই কম প্রাইজে সেল করা থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে সেল প্রাইজ বাড়াতে হবে।


যখন টি-শার্ট অথবা ফ্যাশনেবল আইটেম গুলো বিক্রি করা শেষ করবেন। অথবা পর্যাপ্ত বিক্রি হয়ে গেলে  আরেকটি স্টক খুলে দেবেন। এবং সেখানেও আরো ভালো ভালো আইটেমের ব্যাবস্থা রাখবেন।  ধীরে ধীরে ব্যবসায়ের গ্রো করতে হয়। সাথে সাথে বা দ্রুতগতিতে যদি আপনি ব্যবসাকে গ্রো(Grow) করাতে চান তাহলে সেখানে ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থাকে।


পরবর্তীতে আছে সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে রিসার্চ করা। আপনার পণ্যটি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভালোমতো রিসার্চ করুন। কোনো পণ্য নিয়ে কমপক্ষে এক সপ্তাহ ধরে রিসার্চ করুন। আপনার মত পণ্য সোশ্যাল সাইটে আরো অনেক জায়গায় আছে, যেখানে স্টক করা হয়। ঐসব পণ্যে নিজের প্রতিযোগিতা আগে থেকে সেটআপ করে নিতে হবে।

নতুন ব্যবসা শুরু করার নিয়ম

 


৩। একটি বাজেট নির্ধারণ করুন ও খরচ কমান

নিজের ব্যবসা সম্পর্কে পূর্বপরিকল্পনা সেট করার পর, আপনার বাজেট নির্ধারণের মনোযোগী হতে হবে। যখন দেখবেন নিজের কি ধরনের অগ্রগতি ব্যবসার জন্য সুফল বয়ে আনতে পারে তখনি নিজের বাজেট খেয়াল রাখবেন। এমন অনেক ব্যবসায়ী আছে যারা ঠিকমতো বাজেট নির্ধারণ করতে পারে না। আবার কেউ তুলনায় কম বাজেট নির্ধারণ করে। তবে আপনি যদি নতুন শুরু করতে চান তাহলে কম টাকায় বাজেট নির্ধারণ করার চেষ্টা করবেন।

পড়ুনঃ


কেননা ভালো আইডিয়া নতুন নতুন ধারণা নিয়ে বিজনেস শুরু না করলে কম টাকায় বাজেট সেট করতে হয়। তারপর ধীরে ধীরে এ থেকে অধি মুনাফা লাভ করা যায়। আর ভালো আইডিয়া একদিনেই আসে না। নানা ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা লাগে।


৪। কতগুলো বিষয় মাথায় রেখে বাজেটের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।

১) পণ্যের ব্যবহার

২) ইন্সুরেন্স

৩) কি পরিমান পণ্যের সরবরাহ করবেন তা আগে থেকে ঠিক করে রাখবেন। এবং তা অনুযায়ী বাজেট নির্ধারণ করবেন।

4 )সংরক্ষণ এবং পণ্য আদান প্রদান। ও পণ্যের ক্রয় বিক্রয়


আবার নিজস্ব ওয়েব সাইট অথবা সফটওয়্যার এর কথা চিন্তা করেও বাজেট নির্ধারণ করবেন। কেননা ব্যবসা ম্যানেজ করার জন্য সফটওয়্যারের প্রয়োজন পড়ে। যে কোন একটি এপ্লিকেশন বা ওয়েবসাইট হলেও হয়।


 যখন আপনি নিজের বাজেট ঠিক করে নিতে পারবেন। তখন নিজে থেকেই ব্যবসায়ের পরবর্তী অগ্রগতি সম্বন্ধে ধারণা পেয়ে যাবেন। কখনো বাজেটের বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত খরচ করার চিন্তা করবেন না। এবং নিজেকে বাজেটের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করুন। যেখানে সেখানে খরচ করার ফল খুব খারাপ হতে পারে।



most important question:

আপনার নতুন উদ্যোগে কত টাকা খরচ করতে যাচ্ছেন? আপনি কি কোন ধরনের অতিরিক্ত খরচ করার চিন্তা নিচ্ছেন? অথবা এমন কোন জিনিসপত্র আছে যা আপনার ব্যবসার ক্ষেত্রে বেশি দরকারি? এখানে সবগুলো উত্তর বের করে নিন। তারপর সেগুলো যোগ করে তা থেকে অতিরিক্ত খরচের অর্ধেক পরিমাণ অর্থ বাদ দিয়ে দিন।


এ প্রশ্নগুলো নিজে নিজেকেই করুন আপনার উত্তর খুঁজে নিয়ে বাজেট নির্ধারণ করুন। নতুন ব্যবসা শুরু করার নিয়ম।

 



৫। খারাপ দিকগুলো সম্পর্কে আগে থেকেই সচেতন হোন

পারবেন সে বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করে নিবেন কেননা যে কোন ব্যবসা থেকে স্পিরিট শক্তি যদি  চলে যায়, তাহলে সে ব্যবসাইয়ে আপনি কখনো লাভবান হতে পারবেন না। আগে  দেখে নিবেন যে , আপনার শখের বশে করা ব্যবসাটি আপনার মন মরা হওয়ার কোনো কারণ হয়ে দাঁড়ায় কিনা? অথবা আপনি এতে অতীষ্ঠ হয়ে যান কিনা? কেননা ব্যবসার অনেক দিক আছে। এমন অনেক ব্যবসা আছে যেগুলোতে খুব বেশি খাটুনি দিতে হয়।

এছাড়া বিভিন্ন কারণে আপনার শখের বশে উদ্যোগ নেয়া ব্যবসাটি মজাদার থেকে কম উপভোগ্য ব্যবসা তে রূপান্তরিত হতে পারে । নিজের সবচেয়ে বেস্ট সক্ষমতা গুলো বিবেচনা করে তারপর ব্যবসাতে যাবেন । যদি আপনার এরকম এবিলিটি না থাকে যে আপনি ব্যবসা ধরে রাখতে পারবেন না, ব্যবসা ম্যানেজিং, সবসময় ব্যবসাকে এনালাইসিস করার দিকেও আপনার একঘেয়েমি আছে । 


তাহলে আপনি আপনার ব্যবসা না করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন । কারণ ব্যবসায় পরবর্তীতে কী আসতেছে সেগুলো আগে থেকে নির্ধারণ করে নিবেন। নতুন ব্যবসা শুরু করার নিয়ম

 কতটুকু পরিশ্রম করতে হবে সেটা নির্ধারণ করে নিলে ব্যবসা সম্বন্ধে স্পষ্ট ধারনা তৈরী হয়।

 


৬। কখনোই প্রতিদিনের কাজ কর্মের মাঝে গ্যাপ দিবেন না

আরো একটি বড় মিসটেক যেগুলো বেশিরভাগ ব্যবসায়ীরা করে থাকে ।সেটা হলো  দৈনন্দিন কাজ করার মধ্যে গ্যাপ দিয়ে দেওয়া । নতুন ব্যবসা। কাজেই এটি করে নিজের কাজ কর্মের মধ্যে কোন ধরনের ত্রুটি রাখবেন না। প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন সেরে নিবেন। 


ব্যবসাতে কোনদিনও একদিন কাজ না করার অভিপ্রায় নিবেন না। শুরুতেই নিয়মিত ব্যবসার কাজে মন দিয়ে যাবেন। পরবর্তীতে যখন আপনার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান দাঁড় করাতে পারবেন, তখন আপনি ওই কাজে ছোটখাটো গ্যাপ নিতে পারেন। অথবা ১-২ দিন কাজ না করার অভিপ্রায়ে নিতে পারেন।.

আরও পড়ুনঃ



ব্যবসার মধ্যে ছোটখাটো গ্যাপ নিয়ে নেওয়া,   কোনোদিন কাজ করা আবার কোনোদিন কাজ না করা এ ধরনের অভ্যাস তৈরি হলে ব্যবসাইয় কখনো লাভবান হওয়া যায় না। বরঞ্চ ক্ষতি হতে হয় । আবার সঠিক উপায়ে কিভাবে ব্যবসাটাকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন, সে সম্বন্ধে ধারণা কমে যাবে।


যেকোনো ধরনের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠিত হতে হলে এবং নিজে ব্যবসায়ীকে বৃদ্ধি করতে হলে, এক ধরনের দীর্ঘমেয়াদী সময় লাগে। অর্থাৎ দীর্ঘমেয়াদি আপনাকে কাজ করে যেতে হয়। একদিনে অথবা.১-২ মাসের মধ্যে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানো সম্ভব না । আপনাকে ধীরে ধীরে কাজ করে, অনেক সময় নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি কাজ করে যেতে হবে।

এরকমও হতে পারে নিজের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে প্রচুর কাজকর্ম করে যেতে হচ্ছে। অথবা পরিশ্রম করতে হচ্ছে । তারপরও এর মাঝে কোন ধরনের ফাক রাখবেন না। অথবা ত্রুটি রাখবেন না । কোনভাবে যদি ব্যবসা কাজে ফাঁকি দিয়ে দেন, তাহলে আপনার ব্যবসা গ্রো


৭। পার্টনার তৈরি করে নিন

আপনি যদি ভাবেন যে ওয়ান ম্যান আর্মি হয়ে একটি ব্যবসা স্ট্যাবল করে নিতে পারবেন । অথবা প্রতিষ্ঠ করতে পারবেন তাহলে আপনি ভুল। নিজের পার্টনার নিন ,কতজন মিলে টিমওয়ার্কের মাধ্যমে নিজের ব্যবসা কে সামাল দিন। আপনি একা যদি ব্যবসা করতে চান তাহলে যতটা সফলতা আসবে, আপনার নিজের বন্ধু-বান্ধবদের সাথে যদি ব্যবসার অভিপ্রায় নেন তাহলে আরও বেশি সফলতা আসবে।


কিন্তু আপনার পার্টনারের উদ্দেশ্য সৎ থাকা দরকার। অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে যদি কেউ প্রবেশ করে, তাহলে আপনি সে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে পারবেন না। এমন হতে পারে আপনি নিজেই ব্যবসা থেকে আউট হয়ে গেলেন।

আরও পড়ুনঃ



ব্যবসা শুরু করার মূল জিনিস হলো পুঁজি। ভালো পুঁজি নির্ধারণের জন্য পার্টনার প্রয়োজন পড়বে। কিছু পার্টনারকে ও তাদের সকলের মতামত নিয়ে, নিজের ব্যবসা কে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। একাই হুটহাট করে কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলে পরে সেটি ভুল স্তাপিত হতে পারে । কিন্তু একাধিক লোক জন মিলে যদি কোন একটি সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে সেটা ভুল হলেও কোন সমস্যা হয় না।


এরকম লোকজন খুজতে পারেন, যারা আপনার ব্যবসায়ে যোগ দিবে। তাহলে আপনার ব্যবসা্যের অগ্রগতি হবে।এমনকি আপনার পার্টনার আপনাকে মটিভেট করবে, উৎসাহ দিবে যেটা অনেক দরকার ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে। যত বেশি উৎসাহ পাবেন তত আপনার স্পিরিট শক্তি বাড়বে।

আরও পড়ুনঃ



৮। একটি ব্যবসা পরিকল্পনাই সবকিছু

যে কোন ব্যবসা শুরুর আগে তার একটি নির্দিষ্ট আইডিয়া থাকে। অথবা সেটার এক পরিকল্পনা থাকে। সেই পরিকল্পনাতেই ব্যবসার সূচনা হতে পারে। যেকোনো কথার একটি নির্দিষ্ট ফাউন্ডেশন অথবা নির্দিষ্ট মিলবন্ধন ,ব্যবসার একটি নতুন উদ্যোগ হতে পারে। সেটাই আপনার long-term বা দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসাইয়ের একটি উদাহরণ হতে পারে।


কোন ব্যবসা সম্পর্কে যত বর্ণনা জানা যায় ততই ভালো ।এটা আপনার ব্যবসার নিজস্ব ম্যাপ কোন দিক থেকে কোন দিকে অগ্রগতি হচ্ছে সেটা নির্ধারণের ভূমিকা রাখবে।এছাড়া ব্যবসা ম্যানেজমেন্ট করার নিজস্ব প্ল্যান থাকে। নিজের পরিকল্পনা থাকে। আবার এ নিয়ে অনেক সামারি এবং ছোট বর্ণনা অথবা লোকজনের অভিপ্রায় জানতে পারেন।

সর্বোপরি একটি ব্যবসা পরিকল্পনা আপনার ব্যবসাকে ফোকাস দেয়ার জন্য কাজে আসবে ।এবং নির্দিষ্ট সফলতা বয়ে আনবে। একটি সুন্দর ব্যবসায় পরিকল্পনা একটি সফল ব্যবসার জন্য খুবই দরকারি।



৯। নিজের ব্র্যান্ডিং হলো আসল পরিচয়

একটি ব্র্যান্ড মানে মার্কেট  শেয়ার করা না।একটি পরিচিত এবং সফল ব্র্যান্ড তৈরি করার জন্য দরকার অনেক সময় এবং অনেক পরিশ্রম।


নিজে ব্যবসাকে ব্র্যান্ডে পরিণত করতে গেলে ব্র্যান্ডিং বজায় রেখে চিন্তাভাবনা নিতে হবে। আপনার নিজের ব্র্যান্ডিং বজায় রাখতে হবে । নিজেদের আলাদা কোয়ালিটি তৈরি করতে হবে। অন্যদিকে ইউনিক হওয়ার চেষ্টা করতে হবে।


একটি সফল ব্র্যান্ড কাস্টমারদের সাথে ভালো সার্ভিসিং প্রদান করে । এবং তাদের নিজের ডেসক্রিপশনে ভালো বার্তা পৌঁছে দেয় , যার মাধ্যমে নিজের পার্সোনালিটি অথবা ব্র্যান্ডিংয়ের পরিচয় পাওয়া যায়। ব্যবসায় কোনো কারণে যখন কাস্টমার আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হবে না ,তখন আপনি কাস্টমার স্যাটিসফ্যাকশন বা কাস্টমারদের সন্তুষ্ট করার ব্যাপারে আগ্রহী করবেন।


এজন্য পরবর্তী ভাল উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারেন। কখনো ব্যবসায় কোন পণ্যের অধিক মূল্য বৃদ্ধির ফলে কাস্টমার সন্তুষ্ট হওয়ার পরিমাণ কমে যায়। এবং এর জন্য আপনি পরবর্তীতে অন্য কোন প্রাইসে ডিসকাউন্ট দিয়ে তাদের সন্তুষ্ট  ফিরিয়ে আনতে পারেন



১০। গৌরব ধরে রাখুনঃ

এখানে আমি বিগিনারদের টিপস দিচ্ছি মাত্র। নিজেরদের গৌরব ধরে রাখে যদি একটি ব্যবসা শুরু করতে যান , তাহলে এটি অবিলম্বে সফল অবশ্যই হবে।



১১। ব্যবসা এডভার্টাইজ করা

যেকোনো অনলাইন ব্যবসায় আপনাদের সার্ভিসিং সম্বন্ধে কাস্টমারদের জানতে হবে।প্রাথমিকভাবে ক্লায়েন্টদের গ্রাহকদের আপনার ব্যবসায়ে আনতে অসুবিধা হতে পারে, কারণ আপনার ব্যবসায় সম্পর্কে কেউ জানে না।


আপনার টার্গেট শ্রোতাদের মধ্যে খ্যাতি বাড়ানোর জন্য পণ্যের দাম কমিয়ে আনা। এবং কোনো প্রোডাক্টের মূল্য কম চার্জ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।।


আপনার ব্যবসায়ের সার্ভিস বিশ্বস্ত , এটির জন্য সামাজিক প্রমাণ তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবসা যাই হোক না কেন, পর্যালোচনা সব কিছু। মানুষ আপনার ব্যবসা নিয়ে কি ভাবছে সেটা মূল কথা। ব্যবসায়ের প্রগতির জন্য আপনি চাইলে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করিয়ে নিতে পারে। 



১২। ব্যবসায় মনোভাব তৈরি করুন।

আমাদের টপিকস কি ছিল? সফল ভাবে ব্যবসা শুরু করার ১২টি টিপস ।এখন আপনি আপনার কাজে লাগিয়ে তো এমন ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছেন ।  আপনি সম্ভবত এই শখটি শুরু করেছিলেন কারণ আপনি এটি উপভোগযোগ্য বলে খুঁজে পেয়েছেন। এবং এখন অলরেডি ব্যবসা শুরু করেছেন।আপনাকে অবশ্যই পুরো প্রচেষ্টাটিকে ব্যবসায়ের মতো আচরণ করতে হবে। আপনার কাজ থেকে ইন্টারেস্টেড চলে গেলেও ব্যবসায়ীকের মতোই আচরণ করতে হবে।


আরও পড়ুনঃ


মনে রাখবেন, আপনি এই উদ্যোগটি সফল হতে চান। আপনার নিজের ব্যবসায় একটি শখ। শখের মতো ভেবেই ব্যবসায় কে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।ভালো লাগলে শেয়ার করুন। ভালো ভালো ব্লগ নিয়ে আসছি, কাজেই ফলো করে রাখুন। আউটসোর্সিং  বিষয়ে নিত্য নতুন ব্লগ খুজে পেতে আমার ব্লগে স্বাগত। সমাধান নিন আপনার প্রয়োজনের।

এবার সফল নিশ্চয়ই হবেন! শুভকামনা রইলো!

Post a Comment

কমেন্ট করার মিনতি করছি। আমরা আপনার কমেন্টকে যথেস্ট মূল্য প্রদান করি। এটি আমাদের সার্ভিসের অংশ।

তবে কোনো ওয়েবসাইট লিংক প্রকাশ না করার অনুরোধ রইল।

Previous Post Next Post